[One of the students of my class and his father is currently suffering from Covid-19. We are all distressed. I wrote this email for my class, and thought that I would share it here in case any one needs it. If you know of any better mental health resources, please let me know in to comment.]
Such times of uncertainty and fear puts a lot of stress and pressure on our mental well-being. While we all claim that we are rational human being, the deep down, we are vulnerable and emotional creatures. If you need any support, please reach out and talk to your friends, your academic advisors, or you can reach out to me.
These are unprecedented times in our known memory, and the stresses will pile up. We need to try to make the best of the situation and stay optimistic. Globally, Covid-19 has claimed lives of more than 300,000 people[1], while mental health problems yearly kill more than 8 million [2] - an order of magnitude more. We should not, therefore, ignore our mental health.
I would have pointed you to a professional counseling service like western universities. Unfortunately, such services and concepts are not well developed in our country. I just want to point out that there is a course on Coursera specifically tailored towards the pandemic situation called "Mind Control: Managing Your Mental Health During COVID-19" (https://www.coursera.org/learn/manage-health-covid-19) offered from University of Toronto. There is another course on increasing optimism called "Resilience Skills in a Time of Uncertainty" (https://www.coursera.org/learn/resilience-uncertainty) from University of Pennsylvania. Try to see if these courses help you.


Honored to provide technical assistance in this endeavor led by my brother-in-law Dr. Shakil Farid. “Fighting #covid19 on the Front Line” is written by Bangladeshi doctors working home and abroad as an aid to Bangladeshi hospitals. The second edition is already downloaded +500 times.
I designed this cover page to focus on the health care workers. Too often we forget the dedicated doctors, nurses, PCAs, who are working hard to save lives - ignoring all risks, all fear. They are the soldiers in this war, fighting the battle in the front line, while we stay safely at our homes.
The book is freely available to download from shakilfarid.com/covid19, the website designed and maintained by yours truly.
বাবাকে যেভাবে দেখেছি
আমার বাবা ডঃ নঈম চৌধুরী বেঁচে থাকলে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর ৭৩তম জন্মদিন পালন করতাম। আজ তাঁর মৃত্যুর ১৯তম দিন। প্রথম উপসর্গ দেখা যাওয়ার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বাবা ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর দুরারোগ্য ব্যাধি যে পর্যায়ে ধরা পরেছে ১৪ আগষ্ট তারিখে, তাতে তার চিকিৎসা করা ছিল বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের আয়ত্তের বাইরে।
বাবা বেঁচে থাকতে কাজ পাগল মানুষ ছিলেন। যে কাজের দায়িত্ব নিতেন, নিজের পুরোটুকু দিয়ে কাজটি করতে পছন্দ করতেন। ঢাকা পরমাণু শক্তি কেন্দে তিনি একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ১৯৬৮ সনে। কর্মজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৫ সন পর্যন্ত এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্যনিরাপত্তা বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন। জাতীয় জীববিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এর প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব তিনি সফল ভাবে পালন করেছেন। ২০০৩ সনে পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে চাকুরীর অবসর হবার পর থেকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীর কাজে নিজেকে সর্বতো নিয়োজিত রাখতেন, যেটা ছিল সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবা। বিজ্ঞান একাডেমীর পক্ষে উকিলের বাসায় তিনি নিজে ছুটে যেতেন এবং তারই মাঝে একদিন চুরি যাওয়া ম্যানহোলের ঢাকনার কারণে পরে গিয়ে তাঁর পায়ের দুটি অস্থিতেই স্পাইরাল ফ্র্যাকচার হয়। বিছানায় শুয়ে শুয়ে তাঁর কাজ দেখেছি, একাডেমীর মিটিং আমাদের বাসায় এসে সবাই করেছিলো, এবং ভাঙ্গা পা নিয়েই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তাঁর জাতীয় জীবপ্রযুক্তি নীতিমালা (National Biotechnology Policy) উপস্থাপন করতে। নীতিমালার যে খসড়া, তা তিনি নিজ হাতে তৈরি করেছিলেন, এবং কোন পারিশ্রমিক গ্রহণ করেন নি এই কাজের জন্যে। ২০০৫ এ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবা জয়েন করে নতুন করে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবপ্রযুক্তিবিদ্যা, অণুজীববিজ্ঞান ও ফার্মেসি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করলেন। বাবা সবসময়ে শিক্ষকতাকে পছন্দ করতেন, এবং আমাকেও উৎসাহিত করতেন এই পেশায় আসতে।
আমার বাবার নিজ দেশের মঙ্গলের জন্য ও দেশের মানুষের জন্যে ছিল এক অকৃত্রিম ভালোবাসা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয়, বাবা কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পি এইচ ডি করছিলেন। তিনি কুইবেক বাংলাদেশ স্বাধীনতা সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ Bangladesh Liberation Force গঠন করেন। পিএইচডি স্থগিত করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপক্ষে জনসচেতনতা ও পশ্চিম পাকিস্তান দখলদার সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তাঁর প্রত্যক্ষ দূরদর্শী হস্তক্ষেপে কানাডা সরকারের গোপনে পাকিস্তানকে অস্ত্রবিক্রির পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রে (ষষ্ঠ খন্ড পৃষ্ঠা ৬৫০) লেখা আছে। কিন্তু তাঁর মুক্তিযুদ্ধের কোন সার্টিফিকেট ছিলনা। তিনি দেশে ফিরে আসেন ও পরবর্তীতে ১৯৭৮ সনে অস্ট্রেলিয়াতে কলম্বো প্ল্যান বৃত্তি নিয়ে নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় বায়োটেকনোলজিতে পিএইচডি করতে যান। অস্ট্রেলিয়াতেও তাঁর জন্যে তার সুপারভাইজর ইমিগ্রেশনের প্রস্তাব আনলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে ১৯৮২ সনে দেশে ফিরে আসেন ও কমিশনে যোগদান করেন পরমাণু বিকিরণ - খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে গবেষণা করতে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে জীবপ্রযুক্তিবিদ্যা (Biotechnology) তে প্রথম পিএইচডি। আমি যখন পিএইচডি করতে দেশের বাইরে যাই, তিনি যদিও বলতেন আমি যেখানে চাই সেখানেই থাকতে পারবো, কিন্তু অন্তর থেকে চাইতেন, আমি যেন দেশে ফিরে আসি, এবং দেশের সেবা করি। যখনই আমার শিক্ষাছুটি নবায়নের সময় হয়েছে, তিনি নিজে ছুটে গেছেন আমার দরখাস্ত নিয়ে।
তিনি কাজ ভালবাসতেন, এবং কখনও কাজ পেন্ডিং রাখতে পছন্দ করতেন না। ডঃ ওয়াজেদ মিয়া যখন কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রায়ই তারা রাত ৮টা বা ৯টা পর্যন্ত অফিসের প্রশাসনিক ফাইল সম্পন্ন করতেন। কখনও বাবা কে দেখি নি বাড়তি ঘণ্টা কাজ করতে কোনও আপত্তি করতে। দুর্নীতির সাথে কখনও তাকে আপোষ করতে দেখি নি। এ ব্যাপারে আমার মা ও অত্যন্ত আপোষহীন ছিলেন। সৎ নিষ্ঠাবান এই মানুষটি কাজের জন্যেই কাজ করতেন, কখনও সুবিধা বা অর্থের জন্যে নয়। একবার আয়কর অফিসে বাবাকে ডেকে একজন কর্মকর্তা ঘুষ দাবী করলে বাবা প্রচণ্ড রেগে গিয়ে সেই অফিসে সবচেয়ে বড় কর্মকর্তার কাছে গিয়ে সরাসরি বলেছেন যে অমুক আমার কাছে ঘুষ চাচ্ছে। তিনি ঐ অফিস থেকে সেদিন বের হয়ে গিয়েছিলেন। রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রোধ বাবাকে ক্লান্ত করেছিলো, কিন্তু জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ন্যায়ের পথে অটল ছিলেন।
পরবর্তীতে অবসর গ্রহণের ১১ বছর পরে, বাংলাদেশ সরকার তাঁর মেধাকে দেশের কাজে নিয়োজিত করতে তাঁকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। সেই নিয়োগের দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তিনি চলে গেলেন আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে। হাসপাতালে যাওয়ার আগের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত অফিসের যাবতীয় ফাইল সই করেছেন। নিজের অন্তিম শয্যায় তিনি যখন স্টেজ ৪ অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত, তখনো তিনি হাসপাতালে বসে ফাইল সাইন করেছেন যেন অফিসের কাজ আটকে না থাকে।
তিনি মানুষের উপকার করতে পছন্দ করতেন। কেউ যদি এসে কোন ধরনের সাহায্য বা তদবিরের সুবিধা চাইতেন, বাবা নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে সহায়তা করতেন। আরেকটি ঘটনা বাবার কাছে শোনা, বাবার অফিসে এক ব্যক্তি হঠাৎ এসে এক Recommendation Letter চায়। বাবা তাকে জিজ্ঞেস করে তাকে আদৌ বাবা চিনে কিনা। সেই ব্যক্তি বাবার পায়ে ধরে বলেছিলেন যে “স্যার, সবাই বলেছেন যে একমাত্র আপনিই আমার এই উপকারটি করতে পারবেন।” বাবা তাকে Recommendation দেয়, এবং তার বদৌলতে সে স্কলারশিপ পেয়ে যায়। জীবনে অসংখ্য মানুষের উপকার করেছেন তিনি, এবং আমাকে বলতেন যে মানুষের উপকার করে কখনও সেটা মনে রাখতে নাই। বাবা মানুষের উপকার করে এক আত্মতৃপ্তি পেতেন।
ক্যান্সারের মৃত্যুযন্ত্রণা কাছ থেকে দেখবার দুর্ভাগ্য আমার এর আগে হয় নি। বাবার উপসর্গ গুলি কিছুটা নিরুপম করবার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী বেদনানাশক দিতে হয়েছে। মুখের শেষ আহারটুকুও যখন আর পাকস্থলী নিতে না পেরে গাড়সবুজ বমি হিসেবে শরীর নির্গমন করলো, তখন তার দেহে পুষ্টি দিতে CV লাইন করে সব পুষ্টি দিতে হচ্ছিলো। যকৃত যখন কাজ করা বন্ধ করে দিলো, এবং দেহের দূষিত রক্তকে আর পরিশোধিত করতে পারলো না, তখন ধীরে ধীরে অসামান্য মানুষটির চেতনা লোপ পেয়ে গেলে হেপাটিক এন্সেফালোপ্যাথির জন্য। যে বাবা ডায়াবেটিস এর জন্যে ব্যাথার বোধ কম বলে সব সময় ঠাট্টা করতেন, তিনিই ক্যান্সারের ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলেন এবং ব্যাথার জন্যে মুখে গোঙ্গানির আওয়াজ করছিলেন। মৃত্যুকামনা কখনওই করা উচিত নয় কারো, নিজ জন্মদাতা পিতামাতার তো নয়ই, কিন্তু, বাবার সেই অন্তিম সময়ের মৃত্যুযন্ত্রণার অস্থিরতায় কখনও কখনও মনে হচ্ছিলো, ওনার “হায়াত দরাজ” করবার প্রার্থনা করে হয়তো আমরা তার কষ্টটাকেই দীর্ঘায়িত করছি। বাবার শেষ নিঃশ্বাসটুকু ফেলতে দেখেছি আমাদের সামনে ও শেষ হৃদস্পন্দনটুকু ও কার্ডিয়াক মনিটরে দেখেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এমন অসামান্য মানুষটি এতো দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত মুমূর্ষু বাবাকে মনে রাখতে চাইনা। বাবা বেঁচে থাকুক আমাদের স্মৃতিতে, একজন সফল বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান প্রশাসক, অধ্যাপক, সৎমানুষ, নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক ও একজন সফল বাবা হিসেবে।


তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা, মন জান না
তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা
আরেক জনায় বসে বসে রংমাখে, ও রে মন
ও আবার সেই ছবিখান নষ্ট করে কোন জনা,কোন জনা (২)
তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা
Solo: G Em // G Em // G C
ও মন, আরেক জন মন্দিরাতে তাল তোলে
ও আবার বেসুরো সুর ধরে দেখো
কোন জনা, কোন জনা (২)
তোমর ঘরে বসত করে কয় জনা
হাত ফসকে যায় ঘোড়ার লাগাম
সেই লাগাম খানা ধরে দেখো
কোন জনা, কোন জনা (২)
তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা



ami bangla’i gan gai, ami bangla’r gan gai
F G Em G
ami amar ami’ke chirodin ei bangla’i khuje pai
C F C G
ami bangla’i dekhi shopno, ami bangla’i badhi shur
F C G C
ami ei bangla’r maya bhora poth’E hetechhi etota dur.
C G C G
bangla amar Jibonanondo, bangla pran’er shukh
G F C C
ami ekbar dekhi, barbar dekhi, dekhi bangla’r mukh||
C F
aaa… aaa… aaa… aaa… aaa… aaa… aaa… aaa…
G C
aaa… aaa… aaa… aaa… aaa… aaa… aaa… aaa.
C
ami bangla’i kotha koi, ami bangla’r kotha koi
F G. Em. G
ami bangla’i bhashi, bangla’i hashi, bangla’i jege roi||
C. F C G
ami bangla’i mati ullashe, kori bangla’i hahakar
F C G C
ami shob dekhe shune khepe giye kori bangla’i chitkar.
C G C G
bangla amar dripto slogan, khipto tin-dhonuk
G F C C
ami ekbar dekhi, barbar dekhi, dekhi bangla’r mukh||
C F G C
aaa… aaa… aaa… aaa… aaa…|| aaa… aaa… aaa…
C F G C
aaa… aaa… aaa… aaa… aaa… aaa… aaa… aaa.
C
ami bangla’i bhalobashi, ami bangla’ke bhalobashi
F G Em G
ami tar’i haat dhore shara prithibi’r manush’er kache ashi||
F C G
ami ja kichu mohan boron korechi binomro sroddhai,
F C G
mishe tero nodi, shaat shagor’er jol gongai-padma’i.
F G C G
bangla amar trishna’r jol, tripto shesh chumuk,
F C C
ami ekbar dekhi, barbar dekhi, dekhi bangla’r mukh||

২. পথে এবার নামো সাথী (Pawthe ebar naamo shaathee) - Salil Chowdhury
Song Name: Pathe Ebar Namo Sathee
Singer: Hemanta Mukherjee
Lyricist: Salil Chowdhury
Label: Saregama
৫. জন্মিলে মরিতে হবে রে (Jonmile morite hobe re)- Pratul Mukhopadhyay
জন্মিলে মরিতে হবে রে জানে তো সবাই
তবু মরণে মরণে অনেক
ফারাক আছে ভাই রে, সব মরণ নয় সমান।।
রক্তচোষার উস্কানিতে, জনতার দুশমনিতে,
সারা জনম গেলে কেটে মরণ যদি আসে
ওরে সেই মরণের ভার দেখে ভাই,
পাখীর পালক হাসে রে, সব মরণ নয় সমান।।
জীবন উৎসর্গ করে সবহারা জনতার তরে
মরণ যদি হয়,
ওরে তাহার ভারে হার মানে ঐ
পাহাড় হিমালয় রে, সব মরণ নয় সমান।।
৬. ন্যাঙটো ছেলে আকাশে হাত বাড়ায় (Nangto chhele aakaashe haat baaray) - Pratul Mukhopadhyay
৭. অবাক পৃথিবী (Awbaak prithibee) - Lyrics by Sukanta Bhattacharya, melody by Salil Chowdhury
কথা: সুকান্ত ভট্টাচার্য্য
সুর: সলীল চৌধুরী
অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি
জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি।
অবাক পৃথিবী! আমরা যে পরাধীন
অবাক, কী দ্রুত জমে ক্রোধ দিন দিন;
অবাক পৃথিবী! অবাক করলে আরো---
দেখি এই দেশে অন্ন নেইকো কারো।
অবাক পৃথিবী! অবাক যে বারবার
দেখি এই দেশে মৃত্যুরই কারবার।
হিসাবের খাতা যখনি নিয়েছি হাতে
দেখেছি লিখিত--- `রক্ত খরচ' তাতে;
এদেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম,
অবাক পৃথিবী! সেলাম, তোমাকে সেলাম!
৮. ছোট ছোট দুটো হাত (Chhoto chhoto duto haat) - Lyrics: Atul Mondal, melody: Pratul Mukhopadhay
কথাঃ অসীম মন্ডল, প্রতুল মুখোপাধ্যায়
সুর ও কন্ঠঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায়
ছোট ছোট দুটো পা, ছোট দুই হাত
দু'টাকায় খেটে খায় ভোর থেকে রাত।।
গালি খায়, লথি খায় করে মাথা হেঁট
তার দিকে চেয়ে রয় কত খালি পেট
তাই মুখ বুজে খেটে যায় ভোর থেকে রাত
ছোট ছোট দুটো পা, ছোট দুই হাত।।
কুড় তাক্ তাক্ দাদা, কুড় তাক্ তাক্,
এক নয়, দুই নয়, দুশো দশ লাখ,
দুশো দশ লাখ শিশু খাটে প্রাণ পাত,
ছোট ছোট দুটো পা, ছোট দুই হাত।।
'শিশুমেলা', 'শিশুদিন', 'শিশু বৎসর'
কত মধু মাখা বুলি, ছাপা অক্ষর
আল ঝলমল সভা, ভাবের জোয়ার
তবু ভবিষ্যতের খাটে ভূতের বেগার।।
এ মহাভারত দাদা, এ মহাভারত
মাছের মতই আছে শিশুর আড়ত
জ্বালানীর মত আছে শিশুর জোগান
মহাভারতের কথা অমৃত সমান।
৯. আমার প্রতিবাদের ভাষা (Amar protibaader bhasha) - Salil Chowdhury
সলীল চৌধুরী
আমার প্রতিবাদের ভাষা
আমার প্রতিরোধের আগুন
দ্বিগুণ জ্বলে যেন
দ্বিগুন দারুণ প্রতিশোধে
করে চূর্ণ ছিন্ন-ভিন্ন
শত ষড়যন্ত্রের জাল যেন
আনে মুক্তি আলো আনে
আনে লক্ষ শত প্রাণে।
আমার প্রতি নিঃশ্বাসের বিষে
বিশ্বের বঞ্চনার ভাষা
দারুণ বিস্ফোরণ যেন
ধ্বংসের গর্জনে আসে
যত বিপ্লব বিদ্রোহের আমি সাথী
আমি মাতি যুদ্ধে হেথায় সেথায়
মানুষের মুক্তির বিপন্নতায়
আমারই রক্ত ঝরে
দেশে দেশে বন্দরে
শত মরু কন্দরে
গৌরী শিখায়
মিলনের তীর্থের সন্ধানে।
১১. রুখে দাও ঘাতক দালালের ওই কালো হাত (Rukhe daao, rukhe daao) - Lyrics by S. M. Abu Bakar, melody by Rabiul Hussein
কথা: এস, এম, আবু বকর
সুর: রবিউল হুসেইন
রুখে দাও, রুখে দাও,
রুখে দাও, রুখে দাও
ঘাতক দালালের ঐ কালো হাত
ভেঙ্গে দাও, রুখে দাও।।
ঘাতক পাতক সব নরপিশাচী
রক্ত লিপ্সায় ওরা উঠেছে মাতি
ওদেও রুখতে সব সাথীকে
ডেকে নাও, রুখে দাও।।
হাতে সবুজের মাঝে লাল সূর্য
ওরে তরুণ বাজা রণতূর্য
আবার ফিরে যাও, মুক্তিযুদ্ধে
ফিরে যাও, রুখে দাও।।
১২. জনতার সংগ্রাম চলবে (Jawnotar shongraam cholbe) - Lyrics by Sikandar Abu Zafar, melody by Sheikh Lutfar Rahman
জনতার সংগ্রাম চলবেই
আমাদের সংগ্রাম চলবেই
জনতার সংগ্রাম চলবেই।।
হত মানে অপমানে নয়, সুখ-সম্মানে
বাঁচবার অধিকার কাড়তে
দাস্যের নির্মোক ছাড়তে
অগিণিত মানুষের প্রাণপণ যুদ্ধ
চলবেই চলবেই,
জনতার সংগ্রাম চলবেই।।
প্রতারণা প্রলোভন প্রলেপে
হোক না আঁধার নিশ্চিদ্র
আমরা তো সময়ের সারথী
নিশিদিন কাটাবো বিনিদ্র।
দিয়েছি তো শান্তি আরও দেবো স্বস্তি
দিয়েছি তো সম্ভ্রম আরো দেবো অস্থি
প্রয়োজন হলে দেবো এক নদী রক্ত।
হোক না পথের বাধা প্রস্তর শক্ত
অবিরাম যাত্রার চির সংঘর্ষে
একদিন সে পাহাড় টলবেই
চলবেই চলবেই
জনতার সংগ্রাম চলবেই
আমাদের সংগ্রাম চলবেই।।
হতে পারি পথভ্রম আরও বিধ্বস্ত
ধিকৃত নয় তবু চিত্ত
আমরা তো সুস্থির লক্ষ্যের যাত্রী
চলবার আবেগেই তৃপ্ত।
আমাদের পথরেখা দুস্তর দুর্গম
সাথে তবু অগণিত সঙ্গী
বেদনার কোটি কোটি অংশী
আমাদের চোখে চোখে লেলিহান অগ্নি
সকল বিরোধ বিধ্বংসী।
এই কালো রাত্রির সুকঠিন অর্গল
কোনদিন আমরা যে ভাঙবই
মুক্ত প্রাণের সাড়া আনবই।
আমাদের শপথের প্রদীপ্ত স্বাক্ষরে
নুতন সূর্যশিখা জ্বলবেই।
জনতার সংগ্রাম চলবেই
আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
[গানটি লিখেছেন সিকান্দার আবু জাফর]
১৩. লাখো লাখো হাত খুলেছে আজিকে ভীরুতা খিল (Laakho laakho haat) - Pintu Bhattacharya
কথা ও সুর: পিন্টু ভট্টাচার্য্য
লাখো লাখো হাত
ভেঙ্গেছে আজিকে ভীরুতা খিল
রাজপথে-পথে উত্তাল
তাই জনমিছিল।।
হাজার কন্ঠ দাবী করে আজ
`শাস্তি চাই, শাস্তি চাই’
বজ্রকন্ঠে উঠেছে আওয়াজ
`বিচার চাই, বিচার চাই’
`শাস্তি চাই, বিচার চাই
হত্যাকারীর বিচার চাই ’।।
শহীদের ডাকে এতগুলো প্রাণ দিয়েছে সাড়া
ভূমিকম্পে দৈত্যপুরী দিয়েছে নাড়া,
একটি ডাকে এতগুলো প্রাণ দিয়েছে সাড়া
ভূমিকম্পে দৈত্যপুরী দিয়েছে নাড়া।
হাজার হাতে মশাল জ্বলে
দীপ্ত ক্রোধ
ঘৃণার আড়ালে হারিয়ে গিয়েছে
আজকে শোক
দৃপ্ত শপথে ঘোষণা তাই
`হত্যাকারীর বিচার চাই ’।।
১৪. চলো চলো হে মুক্তি-সেনানী (Chawlo chawlo he mukti shenani) - Salil Chowdhury
১৫. ক্লান্তি নামে গো (Klanti naamey go)
কথা ও সুর: সলিল চৌধুরী
কন্ঠ: দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়
ক্লান্তি নামে গো, রাত্রি নামে গো
বাইতে পারিনা যে তরণী আর কতদূর
হায় কোথায় শ্যামল মাটির মায়া
হায় কোথায় সবুজ বনের ছায়া
কোথা সে নীড় গভীর প্রেমের মোহনা
আহা কোথায় রে সে দিন।
এ শুধু নিঠুর ভেঙ্গে ফেলা
দিবা নিশি ভাসাই আশার ভেলা
মনোবীণার তারে শুধুই বাজে
আয় আলোক।
তবু তুমি আশার দীপ জ্বেলে রেখো
বাতায়নে আমার পথ চেয়ে থেকো
আবার আমি তোমারই দ্বারে
বিজয়ীর মত আসিব
মর্মর মুখরিত সন্ধ্যায়।
এই জীবনে যদি কিছু হারায়ে থাকি
এই ভূবনে জানি জানি যাবেনা ফাঁকি
এই বিরহ বিধুর রাতে
মিলনের গান গাহিও
আবার আমি এই
ধরণীর ধূলির পরে আসিব
মর্মর মুখরিত সন্ধ্যায়।
১৬. ব্যারিকেড বেয়নেট বেড়াজাল (Barricade bayonet bera jaal) - Abu Bakar Siddique
আবু বকর সিদ্দিকি
ব্যারিকেড বেয়নেট বেড়াজাল
পাকে পাকে তড়পায় সমকাল
মারী ভয়-সংশয় ত্রাসে
অতিকায় অজগর গ্রাসে
মানুষের কলিজা
ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবলায়
খাবলায় নরপাল।
ঘুম নয় এই খাঁটি ক্রান্তি
ভাঙো ভাই খোঁয়াড়ির ক্লান্তি
হালখাতা বোশেখে
শিস্ দেয় সৈনিক হরিয়াল।।
দুর্বার বন্যার তোড়জোড়
মুখরিত করে এই রাঙা ভোর
নায়ে ঠেলা মারো হেই এইবার
তোলো পাল তোলো পাল ধরো হাল।।
কড়া হাতে ধরে আছি কবিতার
হাতিয়ার কলমের তলোয়ার
সংগ্রামী ব্যালাডে
ডাক দয়ে কমরেড কবিয়াল।।
১৭. হে মহা জীবন আর এ কাব্য নয় (Hey moha jeebon) - Lyrics by Sukanta Bhattacharya, melody by Imtiaz Ahmed
কথা: সুকান্ত ভট্টাচার্য্য
সুর: ইমতিয়াজ আহ্মেদ
হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়
এবার কঠিন, কঠোর গদ্যে আনো।।
পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাক
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো
হে মহাজীবন।।
প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি
হে মহাজীবন।।
১৮. সাবাশ বাংলাদেশ এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয় (Shabash Bangladesh) - Lyrics by Sukanta Bhattacharya, melody by Imtiaz Ahmed
কথা: সুকান্ত ভট্টাচার্য্য
সুর: ইমতিয়াজ আহ্মেদ
সাবাশ বাংলাদেশ,
এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়
জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।।
১৯. গ্রাম-নগর-মাঠ-পাথার-বন্দরে তৈরী হও (Graam nawgor maaTh pathar- Salil Chowdhury)
কথা,সুর: সলিল চৌধুরী
গ্রাম নগর- মাঠ পাথার বন্দরে তৈরী হও
কার ঘরে জ্বলেনি দীপ, চির আঁধার তৈরী হও।।
কার বাছার জোটেনি দুধ শুকনো মুখ, তৈরী হও,
ঘরে ঘরে ডাক পাঠাও, তৈরী হও, জোট বাঁধ,
মাঠে কিষাণ, কলে মজুর, নওজোয়ান জোট বাঁধ
এই মিছিল সব হারার, সব পাওয়ার এই মিছিল।।
২০. আমি যে দেখেছি সেই দেশ (Ami je dekhechhi shei desh) - Hemanga Biswas
আমি যে দেখেছি সেই দেশ
দেশ উজ্জ্বল সূর্য রঙীন।
আমি যে দেখেছি তাকে
শত ফুল বাগিচায়
পূবের বাতাসে কি
সুবাস বয়ে যায়।
ভ্রমরের গুঞ্জনে শুনেছি প্রকাশ
বিষাক্ত আগাছা হবে বিলীন।।
[আমি যে দেখেছি সেই দেশ
দেশ উজ্জ্বল সূর্য রঙীন।
দেখেছি তাকে যে শত ফুল বাগিচায়
পুবালি বাতাসে কি সুবাস ছড়ায়।
ভ্রমরের গুঞ্জনে শুনেছি প্রকাশ
বিষাক্ত আগাছা হয়েছে বিলীন]।।
২১. অন্ধকারের পথ এড়িয়ে তো নয় (Awndhokarer pawth eriye to noy) - ?
অন্ধকারের পথ এড়িয়েতো নয়
পেরিয়েই যেতে হবে বেরিয়ে
বাধা-বন্ধের থেকে চোখ ফিরিয়ে তো নয়
সরিয়েই যাব বাধা সরিয়ে।।
পথ যদি নাই থাকে সুযোগে ছাওয়া
তা বলে কি থেমে যাবে এগিয়ে যাওয়া
স্থির ঠিকানায় থির লক্ষ্য রেখে
বাড়িয়েই যাব গতি বাড়িয়ে।।
সমুখে চেয়ে থাকা আর নয়
জীবন কে জানবার এই তো সময়
উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ ভোর যেখানে
অতীতের রঙে-রূপ রেখায়
বর্তমানের শুভ স্বপ্ন আনি
মনগড়া ভয় যাব মাড়িয়ে।।
২২. ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো (Chhele ghoomolo para joorolo) - ?
ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো
বর্গী এল দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দেব কিসে।।
ধান ফুরল, পান ফুরল
খাজনার উপায় কি?
আর ক’টা দিন সবুর কর
রসুন বুনেছি।।
ছেলে ঘুমিও না, পাড়া জুড়াবেনা
বর্গী আছে দেশে
ধানের গোলা শেষ হয়ে যাবে
খড় কুড়াবে শেষে
ওরা আজও ফন্দি আঁটে
সূর্য নেবে লুটেপুটে
আমরা সবাই ঘুমিয়ে গেলে
সূর্য নাববে কি সে।।
২৩. পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে (Purbo digawnte shurjo uthechhe) - Lyrics by Gobinda Haldar, melody by Samar Das
কথা: গোবিন্দ হালদার
সুর: সমর দাস
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।।
বাঁধন ছেঁড়ার হয়েছে কাল,
হয়েছে কাল, হয়েছে কাল, হয়েছে কাল।।
শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে
অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
নয়া বাংলার নয়া শ্মশান, নয়া শ্মশান।
আর দেরী নয় উড়াও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয়ের বিষাণ
বিদ্যুত্-গতি হোক অভিযান
ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল।
২৪. তীরহারা এই ঢেউ-এর সাগর পাড়ি দিবো রে (Teerhara ei dheuer shaagor) - Apel Mahmud
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি
শক্ত করে রে ।
জীবন কাটে যুদ্ধ করে
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই।
ঘর-বাড়ির ঠিকানা নাই
দিন-রাত্রি জানা নাই
চলার ঠিকানা সঠিক নাই
জানি শুধু চলতে হবে
এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর-মাঝি রে।
জীবনের রঙে মনকে টানে না
ফুলের ঐ গন্ধ কেমন জানি না
জ্যোছনার দৃশ্য চোখে পড়ে না
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না।
বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরও ছিঁড়ে যায়
হাতছানি দেয় বিদ্যুত্ আমায়
হঠাত্ কে যে শঙ্খ শোনায়
দেখি ঐ ভোরের পাখি গায়
তবু তরী বাইতে হবে
খেয়া পারে নিতে হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে
তীরহারা এই ঢেউয়ের
সাগর পাড়ি দিব রে।।
[গানটি গেয়েছেন আপেল মাহমুদ]
২৫. নওজোয়ান,নওজোয়ান, বিশ্বে জেগেছে নওজোয়ান (Nawjowaan nawjowaan) - Salil Chowdhury
কথা,সুর: সলিল চৌধুরী
নওজোয়ান নওজোয়ান বিশ্বে জেগেছে নওজোয়ান
কোটি প্রাণ একই প্রাণ একই স্বপ্নে মহীয়ান
তুচ্ছ ভয় সন্ত্রাসের রক্ত পিপাসু দানবের
একতার হিম্মতের শান্তি শপথে বলীয়ান।।
আমাদের মুক্তি স্বপ্নে সূর্যে রং লাগে
যৌবনেরই অভ্যূদয়ে হিমালয় জাগে
আমাদের শান্তি মিছিলে সিন্ধু চলমান
যুদ্ধ খোর সভ্যতার শত্রুরা সাবধান।।
আমরা মিলেছি মানবতার মহত্বে গরিমায়
মজুরে কিষাণে মধ্যবিত্তে সারা দুনিয়ায়
সাধ্য কোন দুশমনের যুদ্ধ ফের বাধায়
রক্তের তান্ডবে বিশ্ব ফের মাতায়
সারা দুনিয়ায়।।
আমরা মরূর ধূলিতে স্বর্গ উদ্যান গড়ি
শ্মশানে-মশানে মরণ বিজয়ী সভ্যতা গড়ি
ধরনীর আর্তনাদ হাসিতে ভরি
সখ্যেরও সঙ্গীতে বিশ্ব মুখরি
সভ্যতা গড়ি।।
২৬. শেষ হয়ে গেছে শোষকের দিন (Shesh hoye gachhe shoshoker din) - ?
শেষ হয়ে গেছে শোষকের দিন
বিদ্রোহ শুরু হোক
অধিকার নিতে চলে এস যত
নিচের তলার লোক
আবার লড়াই হোক।।
আবার না হয় তিরিশ লক্ষ প্রাণ
দেব মোরা বলিদান
মানুষের মত বাঁচার দাবীতে
মেনে নেব সেই শোক।।
ভুল করে আর বারে বারে মোরা
ভুলের মাশুল দেবনা
যত ভুল সব নির্মূল করে
তাতিয়ে এনেছি চেতনা।
কৃষক শ্রমিক সবার ঐক্য পণ
প্রয়োজনে দেবে রণ
মানুষের মত বাঁচার দাবীতে
মেনে নেবে সেই শোক।।
২৭. ভয় কি মরণে (Bhoy ki mawroney) - Mukunda Das
ভয় কি মরণে, রাখিতে সন্তানে
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে৷
তাথৈ তাথৈ থৈ, দ্রিমি, দ্রিমি দ্রম্ দ্রম্
ভূত পিশাচ নাচে যোগিনী সঙ্গে৷
ভয় কি মরণে, রাখিতে সন্তানে, মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে৷
দানব দলনী, হয়ে উন্মাদিনী
আর কি দানব থাকিবে বঙ্গে৷
ভয় কি মরণে, রাখিতে সন্তানে, মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে৷
সাজ রে সন্তান, হিন্দু মুসলমান
থাকে থাকিবে প্রাণ, না হয় যাইবে প্রাণ৷
লইয়ে কৃপাণ, হও রে আগুয়ান
নিতে হয় মুকুন্দেরে, নিও রে সঙ্গে৷
ভয় কি মরণে, রাখিতে সন্তানে, মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে৷
২৮. বান এসেছে মরা গাঙে (Baan eshechhe mawra gaange) - Mukunda Das
বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও
তোমরা এখোনো ঘুমাও, তোমরা এখোনো ঘুমাও৷
বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও
তোমরা এখোনো ঘুমাও, তোমরা এখোনো ঘুমাও৷
কত যুগ গেছে কেটে, দেখেছ কত স্বপন
এবার বদর বলে ধরো বৈঠা জীবন মরণ পণ৷
দমকা হাওয়ার কাল গিয়েছে, ফাগুন বইছে পাল খাটাও
বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও
তোমরা এখোনো ঘুমাও, তোমরা এখোনো ঘুমাও৷
অবহেলে থাকলে বসে, কাঁদতে হবে সারা জীবন
যুগ যুগান্তের তপস্যাতে এসেছে এই লগন,
পারের মাঝি হাল ধরেছে, মিছেই পরের মুখ তাকাও৷
পারের মাঝি হাল ধরেছে, মিছেই পরের মুখ তাকাও৷
বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও
তোমরা এখোনো ঘুমাও, তোমরা এখোনো ঘুমাও৷
২৯.বজ্রকঠিন শপথ এবার লহো সবাই (Bawjrokothin shawpoth abar lawho shobai shaanti chaai) - Lyrics by Nazim Mahmud, melody by Sadhan Sarkar
কথা: নাজিম মাহ্মুদ
সুর: সাধন সরকার
বজ্র কঠিন শপথ আবার লহ সবাই
শান্তি চাই
সবার উপরে মানুষ সত্য কহ সবাই
শান্তি চাই।।
মানবতার নিধনযোগ্য বিভত্সতা
বিভেদ বুদ্ধি বিদ্বেষ বিষ হিংস্রতা
হিংসা দ্বন্দ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে করব ছাই
শান্তি চাই।।
পলাতক আজ শুভ্র কপোত আকাশ নীল
আগামী সূর্যে করবে আবার সে ঝিলমিল।
তা যদি না হয় বুঝব আমরা মানুষ নই
শিরায় শিরায় এখনও পশুর রক্ত বই
তা যদি না হয় গর্ব বড়াই দিও না ঠাঁই
শান্তি চাই।।
৩০. দিন এসেছে এইবার (Din eshechhe eibar) - ?
দিন এসেছে এইবার
কিষাণ তোমার ভয় কি আর
শ্রমিক তোমার ভয় কি আর
শক্ত হাতের বজ্র মুঠোয়
ধর হাতুড়ি কাস্তে আর
মার শাবল--হেঁইয়া হো।।
অন্ন তোমার যে লুটেছে
বস্ত্র তোমার যে কেড়েছে
তার দিন শেষ হয়েছে
জেল জুলুম শেষ এবার।।
অন্ধকারের চার দেয়ালে বন্দী কেন আর
শাবল চালা শাবল চালা
জোরসে শাবল মার
শাবল মারো---হেঁইয়ো
জোরসে মারো---হেঁইয়ো
আরও জোরে---হেঁইয়ো
ভেঙ্গে করো চুরমার।।
৩১. আমাদের নানা মত নানা দল (Amader nana mawt nana dawl) - Lyrics by Nazim Mahmud, melody by Sadhan Sarkar
কথা: নাজিম মাহ্মুদ
সুর: সাধন সরকার
আমাদের নানা মত নানা দল
আমাদের নানা পথ নানা ছল
মহাপাপ অন্যায় স্বার্থের বন্যায়
আমাদের দেশ গেল রসাতল।।
আমাদের এ দেশের ইতিহাস
নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস
জান- মান দি’ কবুল
তবু শুধু দিক ভুল
অমৃতের পেয়ালায় হলাহল।।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম
শহীদের মৃত্যু সে উদ্দাম
বিক্ষত জীবনের বিস্ময়
আজ বুঝি তার কোন নাই দাম।
সত্যের নাই কোন অধিকার
অবিচারে নাই কোন প্রতিকার
এ কি ঘোর অভিশাপ
নাই কোন পরিতাপ
মুক্তির এই নাকি ফলাফল।।
৩২. বাংলার ছাত্র-জনতা (Banglar chhatro jawnota ek michhile dnaara) - ?
বাংলার ছাত্র জনতা
এক মিছিলে দাঁড়া
নতুন দিনের ডাক এসেছে
এক সাথে দে সাড়া।।
ঐ কারখানাতে কলে, ঐ পথে মাঠে জলে
(সবাই) খেটে মরে, না পায় খেতে
না পায় থাকার ঘর
তাই ঋন মুক্তির ঝান্ডা উঁচায়ে ধর।।
ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই মরে ভয়ে
(সেথায়) না হয় পড়া, জীবন গড়া
শুধুই গুলির ডর
তাই সন্ত্রাসের মুন্ডু নিপাত কর।।
৩৩. কমরেড, এই রাত আধিয়ার (Comrade, ei raat aadhiyaar) - Lyrics by Nazim Mahmud, melody by Sadhan Sarkar
কথা: নাজিম মাহ্মুদ
সুর: সাধন সরকার
কমরেড এই রাত আঁধিয়ার
অজগর নিঃশ্বাস চারিধার
পিশাচের মোকাবেলা এই ক্ষণ
কাঁধে নাও দূর্বার হাতিয়ার।।
চোখে জ্বালো শপথের ইস্পাত
ভেঙ্গে ফেল শত্রুর বিষ দাঁত
মনে আনো দুরন্ত বিশ্বাস
জয় কর জনতার স্বাধীকার।।
কমরেড এই রাত ঘুম নেই
জেগে আছি অতন্দ্র পাহারায়
নিষ্ফল স্বপ্নের ধুম নেই
শান্তির মরীচিকা সাহারায়।
পাপ অন্যায় করো প্রতিরোধ
প্রতি রক্তের নাও প্রতিশোধ
কেন আর বৃথা কাল অপচয়
কেন ভয় সংশয়বাদী আর।।
৩৪. তূর্য-নিনাদ বাজাও গর্বে (Toorjo ninaad baajaao gawrbe) - Lyrics by Nazim Mahmud, melody by Sadhan Sarkar
কথা: নাজিম মাহ্মুদ
সুর: সাধন সরকার
তূর্য নিনাদ বাজাও গর্বে
হে বীর হে সৈনিক
গর্জে উঠুক তোমার কন্ঠে
দৃপ্ত প্রাণের মন্ত্র হে নির্ভীক।
অন্তবিহীন অন্ধকার শেষে
নতুন সূর্য আলোর উন্মেষে
ভাঙ্গো শৃঙ্খল মোহ বন্ধন
শাসন শোষণ যন্ত্র বৈদেশিক।
উত্পীড়িত নির্যাতিত অনন্য দেশ
দুঃখ অশ্রু গ্লানির তোমার নাইকো শেষ।
স্বৈরাচারীর শক্তি বাণ কেড়ে
অবসাদ ভয় ক্লান্তি ঘুম ঝেড়ে
মহাজনতার অগ্রপথিক ।।
৩৫. মানবো না এই বন্ধনে (Maanbo na ei bawndhone) - Salil Chowdhury
৩৬. জাগো সর্বহারা অনশন বন্দী ক্রীতদাস (Jago jago shorbohara awnoshono bondee kritodaash) - ?
জাগো জাগো জাগো সর্বহারা
অনশন বন্দী ক্রিতদাস
শ্রমিক দিয়াছে আজি সাড়া
উঠিয়াছে মুক্তির আশ্বাস।।
সনাতন জীর্ণ কু-আচার
চূর্ণ করি জাগো জনগণ
ঘুচাও এ দৈন্য হাহাকার
জীবন-মরণ করি পণ।।
শেষ যুদ্ধ শুরু আজ কমরেড
এসো মোরা মিলি একসাথ
গাও ইন্টারন্যাশনাল
মিলাবে মানবজাত।।
৩৭. এই সূর্যদয়ের ভোরে এসো আজ (Ei shurjodoyer bhore esho aaj) - ?
৩৮. সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের (Shonay morano Bangla moder shoshan korechhe ke)
কথা ও সুর: মকসুদ আলী খান সাঁই
সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের
শ্মশান করেছে কে,
এহিয়া তোমায় আসামীর মত
জবাব দিতেই হবে।।
শ্যামল বরণ সোনালী ফসলে
ছিল যে সেদিন ভরা
নদী নির্ঝরে সদা বয়ে যেত
পূত অমৃত ধারা
অগ্নিদহনে সে সুখ স্বপ্ন
দগ্ধ করেছে কে।।
আমরা চেয়েছি ক্ষুধার অন্ন
একটি স্নেহের নীড়
নগদ পাওনা হিসেব কষিয়া
ছিলনা লোভের ভিড়।
দেশের মাটিতে আমরা ফলাব
ফসলের কাঁচা সোনা
চিরদিন তুমি নিয়ে যাবে কেড়ে
হায় রে উন্মাদনা
এই বাঙালীর বুকের রক্তে
বন্যা বহালো কে।।
৩৯. বাংলা মার দুর্নিবার আমরা তরুণ দল (Bangla Mar doornibaar amra torun dawl) - ?
৪০. জনতার ডাক শুনি (Jawnotar daak shooni) - ?
৪১. এই বাংলায় এসেছিল দুর্জয় শপথের দিন (Ei Banglay eshechhilo doorjoy shawpother din) - Rabiul Hossein
৪২. মুক্তির মন্দির সোপান তলে (Muktiro mondiro shopaano tawle) - Lyrics by Mohini Chowdhury, melody by Krishna Chandra Dey
মুক্তির মন্দির সোপান তলে
কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে৷
কত বিপ্লবি বন্ধুর রক্তে রাঙা, বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙা
তাঁরা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে৷
মুক্তির মন্দির সোপান তলে...লেখা আছে অশ্রুজলে ৷
যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে, স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি
যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা
মৌন মলিনমুখে জাগালো ভাষা
আজ রক্তকমলে গাঁথা মাল্যখানি,
বিজয়লক্ষী দেবে তাঁদেরি গলে
মুক্তির মন্দির সোপান তলে...লেখা আছে অশ্রুজলে ৷
৪৩. হেই সামালো ধান হো - সলীল চৌধুরী (Hei samalo dhaan ho - Salil Chowdhury)
হো..ও ও হো...হা...
হেই সামালো ধাণ হো, কাস্তেটা দাও শান হো
জান কবুল আর মান কবুল
আর দেব না, আর দেব না রক্তে বোনা ধান মোদের প্রাণ হো
চিনি তোমায় চিনি গো, জানি তোমায় জানি গো
সাদা হাতির কালা মাহুত তুমি না
জান কবুল আর মান কবুল, আর দেব না ...মোদের প্রাণ হো
পঞ্চাশে লাখ প্রাণ দিছি, মা-বোনেদের মান দিছি
কালো বাজার আলা করো তুমি না
জান কবুল আর মান কবুল, আর দেব না ...মোদের প্রাণ হো
মোরা তুলবো না ধান পরের গোলায়,
মরবো না আর ক্ষুধার জ্বালায়, মরবো না
ধার জমিতে লাঙল চালায়, ঢের সয়েছি, আর তো মোরা সইবো না
এই লাঙল ধরা কড়া হাতের শপথ ভুলব না
জান কবুল আর মান কবুল, আর দেব না ..মোদের প্রাণ হো
-সলীল চৌধুরী
৪৪. নোঙ্গর তোলো তোলো (Nongor tolo tolo) - ?
৪৫. মনে মনে ওরা সবাই ঘাতক দালাল (Mone mone ora shobai ghaatok dalal) - S. M. Abu Bakar
৪৬. কারা মোর ঘর ভেঙেছে স্মরণ আছে (Kara mor ghawr bhengechhe shawron achhe) - ?
৪৭. ১৬ই ডিসেম্বর (Sholoi December) - Lyrics by S. M. Abu Bakar, melody by Rabiul Hussein
কথা: এস, এম, আবু বকর
সুর: রবিউল হুসেইন
ষোলই ডিসেম্বর
তুমি গর্ব আমার, আমার অহঙ্কার
সালাম তোমায়, তোমায় নমস্কার।।
সেদিন যখন জ্বলে ওঠে বাঙালী
নিয়ে আপন পরিচয়
মানব দানব তোমার কাছে
প্রাণ ভিক্ষা চায়
তখন আমার মায়ের আঁচল উড়ে আকাশে
এমন ক্ষণ আমি পাই নাগো আর।।
ইতিহাসের যত রুদ্ধ পাতা
পেরিয়ে তোমায় পেলাম
প্রতি পাতায় রক্তে লেখা
শত শহীদের নাম
এলে তুমি আলো হয়ে মোছাতে অন্ধকার
এমন আলো বাধা মানে নাগো আর।।
৪৮. আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো (Amar bhaiyer rawkte rangano) - Lyrics by Abdul Gaffar Chowdhury, melody by Altaf Mahmud
৪৯. সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর মনে(Shaare shaat koti Bangalir mone) - Rabiul Hussein
সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর মনে একুশ এসেছে ফিরে
অমর শহীদ ভাইয়েরা আমার তোমাদের স্মৃতি ঘিরে।।
ওরা চেয়েছিল রুদ্ধ করতে মোদের কন্ঠস্বর
উত্তাল পথে নেমেছিল তাই দুর্জয় দুর্বার
তোমাদের প্রতিবাদে
হেরে গিয়ে ওরা মৃত্যু হেনেছে, রেখেছে অমর করে।।
বাহান্ন সাল, একুশে ফেব্রুয়ারী
মৃত্যুঞ্জয়ী ভাইয়েরা আমার
মাতৃভাষার দিলে অধিকার
কি করে ভুলিতে পারি।
চেয়ে দেখ আজ রক্ত পলাশে এদেশের প্রান্তর
শ্রদ্ধায় কত রাঙা হয়ে আছে উজ্জ্বল ভাস্বর
তোমাদের স্মৃতি জ্বেলে
শত কোটি ফুল সাজিয়ে দিয়েছি শহীদ মিনার ভরে।।
৫০. আমাদের চেতনার সৈকতে একুশের ঢেউ (Amader chetonar shoikote Ekhusher dheu) - Lyrics by Nazim Mahmud, melody by Sadhan Sarkar
কথা: নাজিম মাহ্মুদ
সুর: সাধন সরকার
আমাদের চেতনার সৈকতে
একুশের ঢেউ মাথা কুটল
শহীদের রক্তের বিনিময়ে
চোখে জল কয় ফোঁটা জুটল।।
বছরের একদিন পুণ্য
সঞ্চয়ে হয় ঋণ পরিশোধ
হৃদয়ের পাত্রটি শুন্য
অন্যের পায়ে পায়ে লুটল।।
কতকাল আর এই প্রহসন
মুখে মুখে শুধু বাঙালীত্ব
কতকাল আর মোহবন্ধন
জীবনের পদে পদে নিত্য।
একুশের ঢেউ তবু লাগবেই
উর্বর বাংলার প্রান্তর
ফসলের মরশুম জাগবে
রক্ত গোলাপ যদি ফুটল।।
৫১. রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি বাংলাদেশের নাম (Rawkto diye naam likhechhi) - Lyrics: Abul Kashem Sandip, Melody: Shujeyo Shyam
কথা: আবুল কাশেম সন্দীপ
সুর: সুজেয় শ্যাম
রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি
বাংলাদেশের নাম
মুক্তি ছাড়া তুচ্ছ মোদের
এই জীবনের দাম।।
সংকটে আর সংঘাতে,
আমরা চলি সব একসাথে,
জীবন মরণ করে সব
লড়ছি অবিরাম।।
রক্ত যখন দিয়েছি আরও রক্ত দেব,
রক্তের প্রতিশোধ মোরা নেবই নেব,
ঘরে ঘরে আজ দূর্গ গড়েছি
বাংলার সন্তান,
সইবনা মোরা, সইবনা আর
জীবনের অপমান।।
জীবন জয়ের গৌরবে,
নতুন দিনের সৌরভে
মুক্ত স্বাধীন জীবন গড়া
মোদের মনস্কাম।
৫২. ওরা জীবনের গান গাইতে দেয়না পল রোবসন (Ora jeeboner gaan gaaite dey na Paul Robeson) - Salil Chowdhury
ওরা জীবনের গান গাইতে দেয়না
শিল্পী সংগ্রামী পল রোবসন
আমরা তোমারই গান গাই ওরা চায়না।।
তুমি চেয়ে দেখ রোবসন
আমাদের ঐকতানে ঘুম ভেঙ্গেছে
বিপ্লবের বহ্নি দেখে বুক কেঁপেছে
তোমার ঐ সংগীতে ভয় পেয়েছে রোবসন
ওরা প্রতিরোধ প্রস্তুতিতে ভয় পেয়েছে রোবসন।।
মোরা জয় করেছি একতা
মোরা দূর করেছি হীনতা
ওরা ভয় পায় তাই আমাদের
ওরা ভয় পেয়েছে আজ একতায়।
তুমি মৃত্যুহীন যে রোবসন
পৃথিবীর প্রতি ভোরে পথে প্রান্তরে
মেহনতী জনতার প্রতি অন্তরে
তোমারই একতার গান শোনা যায় রোবসন
সারা দুনিয়ার শোষিতেরা এক হয় রোবসন।।
৫৩. আমি বাংলায় গান গাই (Aami Banglay gaan gaai) - Pratul Mukhopadhyay
আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলায় গান গাই,
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার জীবনানন্দ বাংলা প্রাণের সুখ
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |
আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় চিত্কার
বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান ক্ষিপ্ত তীর ধনুক,
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |
আমি বাংলায় ভালবাসি, আমি বাংলাকে ভালবাসি
আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি
আমি যা’কিছু মহান বরণ করেছি বিনয় শ্রদ্ধায়
মেশে তেরো নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায়
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল তৃপ্ত শেষ চুমুক
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |
৫৪. বিচারপতি, তোমার বিচার করবে যারা (Bicharpoti tomar bichar korbe jara) - Salil Chowdhury
কথা ও সুর: সলীল চৌধুরী
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজ জেগেছে এই জনতা।
তোমার গুলির, তোমার ফাঁসীর,
তোমার কারাগারের পেষণ
শুধবে তারা ওজনে তার এই জনতা।।
তোমার সভায় আমির যারা
ফাঁসির কাঠে ঝুলবে তারা,
তোমার রাজা-মহারাজা
কড়জোরে মাগবে বিচার;
ঠিক জেনো তা, এই জনতা।।
তারা নতুন প্রাতে প্রাণ পেয়েছে,
তারা ক্ষুদিরামের রক্তে বীজে প্রাণ পেয়েছে,
তারা জালিয়ানের রক্তস্নানে প্রাণ পেয়েছে,
তারা ফাঁসি কাঠে জীবন দিয়ে
প্রাণ পেয়েছে, প্রাণ পেয়েছে,
গুলির ঘায়ে কলজে ছিঁড়ে প্রাণ পেয়েছে,
প্রাণ পেয়েছে এই জনতা।।
নিঃস্ব যারা সর্বহারা তোমার বিচারে,
সেই নিপীড়িত জনগণের পায়ের ধারে
ক্ষমা তোমায় চাইতে হবে
নামিয়ে মাথা, হে বিধাতা।
রক্ত দিয়ে শুধতে হবে
নামিয়ে মাথা, হে বিধাতা।
ঠিক জেনো তা, এই জনতা।।
৫৫. যশোর খুলনা বগুড়া পাবনা (Jawshor Khulna Bogura Pabna Dhaka Borishal Nowakhali) - ?
৫৬. শোনো একটি মুজিবরের থেকে (Shono ekti Mujibarer theke) - Lyrics by Gauriprasanna Majumdar, Melody by Anshuman Roy
শোনো, একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি:
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।
সেই সবুজের বুক চেরা মেঠো পথে,
আবার এসে ফিরে যাবো আমার
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো।
শিল্পে কাব্যে কোথায় আছে হায় রে
এমন সোনার দেশ।
বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ,
জীবনানন্দের রূপসী বাংলা
রূপের যে তার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ।
‘জয় বাংলা’ বলতে মনরে আমার এখন কেন ভাবো,
আমার হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো,
অন্ধকারে পুবাকাশে উঠবে আবার দিনমণি।।
[গানটির কথা লিখেছেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার এবং গেয়েছেন আংশুমান রায়]
৫৭. সাড়ে সাত কোটি মানুষের আরেকটি নাম (Shaare shaat manusher arekti naam) - ?
৫৮. ও আলোর পথ-যাত্রী - সলীল চৌধুরী (O aalor pawtho jatree - Salil Chowdhury)
ও আলোর পথযাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানে থেম না
এ বালুরচরে আশার তরণী তোমার যেন বেঁধ না,
আমি ক্লান্ত যে, তবু হাল ধরো, আমি রিক্ত যে, সেই স্বান্ত্বনা
তব ছিন্ন পালে জয়পতাকা তুলে, তূর্য তোরণ দাও হানা
ও আলোর পথযাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানে থেম না
আহা বুক ভেঙে ভেঙে, পথে থেমে, শোণিত কণা
কত যুগ ধরে ধরে, করেছে তারা সূর্য রচনা
আর কত দূর, ওই মোহনা, এ যে কুয়াশা, এ যে ছলনা
এই বঞ্চনাকে পার হলেই পাবে, জনসমুদ্রের ঠিকানা
আ আ আ আ আ আ ...
আহ্বান, শোন আহ্বান, আসে মাঠ ঘাট বন পেরিযে
দুস্তর, বাঁধা প্রস্তর, ঠেলে বন্যার মত বেরিয়ে
যুগ সঞ্চিত সুপ্তি দিয়েছে সাড়া, হিমগিরি শুনলো কি সূর্যের ঈশারা
যাত্রা শুরু উচ্ছল, চলে দূর্বার বেগে তটিনী
উত্তাল তালে উদ্দাম নাচে মুক্ত স্রোতনটিনী
এই শুধু সত্য যে নবপ্রাণে জেগেছে, রণ সাজে সেজেছে অধিকার অর্জনে
আহ্বান, শোন আহ্বান...বন্যার মত বেরিয়ে...আসে আহ্বান, শোন আহ্বান
৫৯. জয় জয় নবজাত বাংলাদেশ - ভুপেন হাজারিকা (Joy joy nawbojaato Bangladesh - Bhupen Hazarika)
জয় জয় নবজাত বাংলাদেশ,
জয় জয় মুক্তিবাহিনী
ভারতীয় সৈন্যের সাথে রচিলে
মৈত্রীর কাহিনী।।
ধর্মান্ধতার বিপরীতে ধর্মনিরপেক্ষতা,
বিভেদগামী শক্তির বদলে
গঙ্গা পদ্মার একতা,
বিশাল ভলগা, গঙ্গা-পদ্মার
পাড় ভেঙ্গে এক হল পানি।।
সামন্ততন্ত্রের বিপরীতে, এক নতুন প্রজাতন্ত্র,
সমরতন্ত্রের বিপরীতে,
এক অভিনব সমাজতন্ত্র,
স্থাপনা করে রক্তে লিখিলে
শেখ মুজিবরের বাণী।।
কথা: ভুপেন হাজারিকা
সুর: ভুপেন হাজারিকা
৬০. মোদের বাংলা সোনার বাংলা (Moder Bangla shonar Bangla) - ?
৬১. সে দিন আর কতো দূরে (Shey din ar kawto doorey) - Salil Chowdhury
কথা ও সুর: সলীল চৌধুরী
সেদিন আর কতদুরে,
যখন প্রাণের সৌরভে
সবার গৌরবে ভরে
রবে এ দেশ ধন ধান্যে
শিক্ষায় জ্ঞানে-মান্যে
আনন্দের গানে গানে সুরে।।
(গামা পাধাপা, পা, সা, পা, ধা,
গামাপাধাপা, পা.......নি...........
নির্সার্রের্গার্রে. র্রে.........র্সানিধানি
পাধানির্সা র্সা..র্সা......নিধা.....)
কত না দিন কত রঙীন
কত না যে স্বপন করে বপন
ফিরে চলে গেছে কত না জন,হায়
সেই স্বপন ফুলে ফলে দাও ভরে।।
(পা. পা. পা. পাধাপা. পার্সাপা.
পা. ধা. নি. র্সা. নি. র্রে........
ধা. ধা. ধা. ধানিধা. ধার্রেধা.
ধা. নি. র্সা. র্গা. র্রে. র্সা.....)
এ দেশ আমার, এ দেশ তোমার
বুকের ধন, করো যতন
যেন না কেউ কাড়ে সেই রতন, হায়
বিভেদ বিচ্ছেদ শেষ দাও করে।।
৬২. আয়রে ও আয়রে ও ভাইরে ও ভাইরে (Aay ray o aay ray bhaai ray o bhaai ray) - Salil Chowdhury
কথা ও সুর: সলীল চৌধুরী
আয়রে ও আয়রে,
ও ভাই রে, ও ভাই রে,
ভাই বন্ধু, চল্ যাই রে,
ও রাম-রহিমের বাছা,
ও বাঁচা আপন বাঁচা
চল্ ধান কাটি আর কাকে ডরি,
নিজ খামার নিজে ভরি,
কাস্তেটা শানাই রে।।
এই মাটিতে কলিজার আশা,
স্বপ্নের বীজ বুনি,
আর চোখেরই জল সেচ দিয়ে
ফসলের কাল গুনি
ক্ষেতের আলে আলে
আজ সোনারই ঢেউ খেলে
আহা মাটি মাতা
দুই হাতে অন্ন ঢালে
এই ঘরে ঘরে নবান্নেরই হবে কি রোশনাই।।
আহা কার ঘরে জ্বলেনি দীপ
কে আছ আঁধারে,
আহা কার বাছার জোটেনি দুধ
আছ অনাহারে,
আয় আয় মাটির টানে
কন্ঠ ভরি গানে
মাটি মোদের মাতা
আমরাই তো বিধাতা
এই মাটিতে নবজীবনের, রংমহল বানাই রে।।
৬৩. চল রে চল সবে - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর (Chol re chol shobe- Jyotirindronath Thakur)
চল্ রে চল্ সবে ভারত সন্তান, মাতৃভূমি করে আহ্বান৷
বীর দর্পে পৌরুষ গর্বে, সাধ্ রে সাধ্ সবে দেশের কল্যাণ৷
চল্ রে চল্ সবে ভারত সন্তান, মাতৃভূমি করে আহ্বান৷
পুত্র ভিন্ন, মাতৃ দৈন্য, কে করে মোচন X2
উঠ, জাগো, সবে বলো, ‘মাতঃ, তব পদে সপিনু পরাণ’ ৷
এক তন্ত্রে করো তপ্, এক মন্ত্রে জপ্
শিক্ষা-দীক্ষা, লক্ষ্য-মোক্ষ এক, এক সুরে গাও সবে গান
দেশ-দেশান্তে যাও রে আনতে নব নব জ্ঞান
নব ভাবে নবোত্সাহে মাতো, উঠাও রে নবতর তান
সবে ভারত সন্তান, মাতৃভূমি করে আহ্বান৷
লোক রঞ্জন, লোক গঞ্জন, না করি দৃকপাত
যাহা শুভ, যাহা ধ্রুব ন্যায়, তাহাতে জীবন কর দান
দলাদলি সব ভুলি, হিন্দু-মুসলমান
এক পথে, এক সাথে চলো, উড়াইয়ে একতা নিশান
সবে ভারত সন্তান, মাতৃভূমি করে আহ্বান৷
৬৪. শান্তি না সংগ্রাম (Shaanti na shongraam) - Lyrics by Nazim Mahmud, melody by Sadhan Sarkar
কথা: নাজিম মাহ্মুদ
সুর: সাধন সরকার
শান্তি না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম
আমাদের সংগ্রাম চলবেই
জাগ্রত জনতার প্রতিজ্ঞা খরধার
লাখো লাখো চোখে শুধু জলবেই।।
আপোষ না প্রতিশোধ, প্রতিশোধ, প্রতিশোধ
রক্তের প্রতিশোধ রক্তেই
জাগো ওঠো দুর্বার, ভাঙ্গো করো চুরমার
লাথি মারো জালেমের তখতে,
জালেমের হুজুমত টলবেই।।
ধ্বংস না বিপ্লব, বিপ্লব, বিপ্লব
মহাকাশ পাক খায় ঘুরছে
মজুরের কিষাণের ইতিহাস জীবনের
খুনে লাল পতাকায় উঠছে
রোদ রাঙা বিপ্লব ফলবেই।।
৬৫. রক্ততিলক ললাটে সূর্য (Rokto-tilok lolate shurjo) - Lyrics by Nazim Mahmud, melody by Sadhan Sarkar (কথা: নাজিম মাহ্মুদ, সুর: সাধন সরকার)
রক্ততীলক ললাটে সূর্য, রাজপথ রোশনাই
শোনিত অর্য্যে প্রাণের পুষ্প অবিনশ্বরতায়।।
জীবন-মৃত্যু তুচ্ছ মোদের মায়ের অশ্রুজলে
লক্ষ ছেলের বক্ষ পাঁজর জ্বলছে বজ্রানলে
ধন্য মা তোর গর্ভ ধারণ
তুলনা যে তোর নাই।।
কন্ঠ মোদের রুদ্ধ করিবে, এমন সাধ্য কার
সহস্র কোটি কন্ঠে যখন দৃঢ় অঙ্গীকার।
আমরা শুনেছি রক্তধারায় মহাসাগরের গান
আমরা দেখেছি মৃত্যুর মুখে নবজীবনের বান
পুণ্য স্মৃতির আলোয় আমরা
জীবনের জয় গান।
৬৬. জীবনের ছককাটা চত্বর (Jeeboner chhawk kata chawttor) - Lyrics by Nazim Mahmud, melody by Sadhan Sarkar
কথা: নাজিম মাহ্মুদ
সুর: সাধন সরকার
জীবনের ছককাটা চত্বর
কাঠ ফাটা রোদ্দুরে পুড়ছে
কুয়াশার স্বাক্ষর ধোঁয়াটে
মনের আকাশ কোণে উড়ছে।
জীবন দাবার এই খেলাতে
প্রহরের নাই কোন স্বস্তি
এলোমেলো চাল শুধু মেলাতে
কালের চাকায় ওই ঘুরছে।।
মানুষের শুধুই কি পরাজয়
নিয়তির হাতে চির বন্দী
ব্যর্থতা হতাশায় দিন রাত
ন্যায়-অন্যায়ের এই সন্ধি।
সেই ছকে তুমি আমি সব্বাই
পরাস্ত রাজা এক পলাতক
ঘুরে মরি যদি কোন পথ পাই
ক্ষীণ আশা তাই মন জুড়ছে।।
৬৭. ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে (Dinga bhashao shaagore shathire) - Pratul Mukhopadhyay
ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথীরে
ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে
পূবের আকাশ রাঙা হল সাথী
ঘুমায়োনা আর, জাগো রে।
ভাসাও ডিঙ্গা সাগরে।।
(হো হো হো....................)
ওরে ডাঙ্গার টানে পরান ছিল বাঁধা,
কেন রে বন্ধু এতকাল
ছিল পরান বান্ধা এতকাল
গরজে গুমরি ডাকে শোন
ওই, তরঙ্গ উথাল পাথাল
পাল তুলে দাও, হাল ধর হাতে
দুস্তর সাগর হব পার
জাগায়ে মাতন ঢেউয়ের নাচন
মরণ-বাঁচন একাকার।
৬৮. আমার মাগো, তোর চোখে কেন জলের ধারা (Amar maa go tor chokhe keno jawler dhara) - Pratul Mukhopadhyay
আমার মা গো, তোর চোখে কেন জলের ধারা?
দুশমনে রুখিতে তোর এক পুত্র দিল প্রাণ,
মা, দেখ আজ তোরে মা বলে ডাকে হাজার সন্তান
আমার মা গো, কে বলে তুই সন্তানহারা।।
আমার মা, আমার মা গো
তোর চোখে কেন জলের ধারা?
ধন্য বীর মাতা বীর, পুত্র গরবিনী, আমার মা;
সাহসী সন্তানদের শক্তি, স্বরূপিনী, আমার মা
ঘরে ঘরে আমরা মা তোর আশিস নিয়ে মাথে
সংগ্রাম করিব হিংস্র দানবের সাথে
আমার মা গো, আঁখি মুছে উঠে দাঁড়া,
আমার মা, আমার মা গো
তোর চোখে কেন জলের ধারা?
কথা, সুর ও কন্ঠঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায়
৬৯. নাও গান ভরে, নাও প্রাণ ভরে (Naao gaan bhore naao praan bhore) - Salil Chowdhury
কথা ও সুর: সলীল চৌধুরী
নাও গান ভরে, নাও প্রাণ ভরে
চলো যাই যেখানে প্রান্তর
সোনার ধানের শীষে ডাকে যেখানে
সোনা ভরা অন্তর।।
সেই ঝিম ঝিম ঝিম ধরা দিন দিন দিন,
যেথা ঝির ঝির ঝির ঝির বাতাসে
সেই ঝিন ঝিন ঝিন সুরে ঝিঁঝি ডাকা দুপুরে,
শান্তির আহবান যে আসে
স্বপ্নের তুলি দেয় সোনা রঙ আকাশে।।
ডাক দেয় শোন শোন, তূর্য বেজেছে যে,
রাত্রির অবসানে সূর্য জেগেছে যে
রঙে রঙে ধরণী, হল নানা বরণী
ঝর ঝর ঝরণার সুরে।।
আর নয় দেরী আর নয়, বন্ধ ঘরে আর নয়,
সুপ্তি ভেঙ্গেছে যে, মুক্তি ডেকেছে যে
কুলু কুলু তটিনী, তরী যেন নটিনী
নেচে নেচে চলে যায় দূরে।।
৭০. মোরা যাত্রী একই তরণীর (Mora jatree eki toroneer) - ?
ভূপেন হাজারিকা
মোরা যাত্রী একই তরণীর,
সহযাত্রী একই তরণীর
যদি সংঘাত হয় তবে ধ্বংস হবে
গর্ব মোদের প্রগতির।।
প্রভু চোখ মেলে চাও
দেখ স্বর্গ হতে,
ও মহা প্রভু, কী শুন্য সাগর,
এই তরী পৃথিবীর সারা মানবজাতির,
তাই ঈশ্বর গড়ে দিন মিলনের নৌকো
চোখ কারও কালো কারও নীল কারও পিঙ্গল,
তাই তো দেখি তোমার আমার
একই আকাশ একই ধরণী।
৭১. যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ, ডাক দিয়ে যাই (Judhdho judhdho judhdho daak diye jaai) - S. M. Abu Bakar, melody by Rabiul Hussain
কথা: এস, এম, আবু বকর
সুর: রবিউল হোসেইন
যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ, ডাক দিয়ে যায়
জীবন যুদ্ধ নতুন যুদ্ধ, যুদ্ধের শেষ নাই।।
বড়তে ছোটতে যুদ্ধ, নতুনে পুরাতনে যুদ্ধ
মানুষে অমানুষে যুদ্ধ, সময়ে অসময়ে যুদ্ধ
তুমি চাও বা না চাও যুদ্ধ থেমে নাই।।
হয় আমি মরব না হয় তুমি মরবে
কেউ তো বেঁচে রবে, তারা সবাই লড়বে
তোমার আমার মৃত্যু হলেও মানুষের মৃত্যু নাই
যুদ্ধের শেষ নাই।।
৭২. জয় বাংলা, বাংলার জয় (Joy Bangla Banglar joy) - Lyrics by Gazi Mazharul Anwar, melody by Anwar Parvez
জয় বাংলা বাংলার জয়।
হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়
কোটি প্রাণ এক সাথে জেগেছে অন্ধরাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়।
বাংলার প্রতি ঘর ভরে দিতে
চাই মোরা অন্নে
আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে
মুক্তির দৃপ্ত তারুণ্যে।
নেই ― ভয়
হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদপট ।
আমি করি না করি না করি না ভয়।
অশোকের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরী
হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ
চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার
আর ঐ কান্নার শব্দ।
শাসনের নামে চলে শোষণের
সুকঠিন যন্ত্র
বজ্রের হুঙ্কারে শৃঙ্খল ভাঙতে
সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র।
আর ― নয়।
তিলেতিলে মানুষের এই পরাজয়
আমি করি না করি না করি না ভয়।
জয় বাংলা বাংলার জয়।।
[গানটি গাজী মযহারুল আনোয়ারের রচনা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূচনা পর্যায়ে সকল অধিবেশনের প্রারম্ভ ও সমাপ্তি সূচক ধ্বনি হিসেবে প্রচারিত হয়েছে।]
৭৩. কারার ওই লৌহকপাট (Karar oi louho kopat - Kazi Nazrul Islam)
কারার ওই লৌহ-কপাট
ভেঙে ফেল্, কর্ রে লোপাট
রক্ত-জমাট শিকল-পূজার পাষাণ-বেদী
ওরে ও তরুণ ঈশান, বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ
ধ্বংস-নিশান উড়ুক প্রাচী’র প্রাচীর ভেদি
গাজনের বাজনা বাজা, কে মালিক কে সে রাজা
কে দেয় সাজা মুক্ত-স্বাধীন সত্যকে রে
হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান পরবে ফাঁসি
সর্বনাশী শিখায় এ হীন তথ্য কে রে
ওরে ও পাগলা ভোলা, দেরে দে প্রলয়-দোলা
গারদগুলা জোর্ সে ধরে হ্যাঁচকা টানে
মার হাঁক্ হায়দরী হাঁক্ ,
কাঁধে নে দুন্দুভী ঢাক্, ডাক্ ওরে ডাক্ মৃত্যুকে ডাক জীবন-পানে
৭৪. এই শিকল পরা ছল (Ei shikol pora chhawl - Kazi Nazrul Islam)
এই শিকল-পরা ছল মোদের এই শিকল-পরা ছল
এই শিকল পরেই শিকল তোদের করবো রে বিকল
তোদের বন্ধ কারায় আসা মোদের বন্দী হতে নয়
ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন-ভয়
এই বাঁধন পরেই বাঁধন-ভয়কে করবো মোরা জয়
এই শিকল-বাঁধা পা নয় এ শিকল-ভাঙা কল
৭৫. এক সাগর রক্তের বিনিময়ে (Ek shagor rokter binimoye) - Lyrics by Gobinda Haldar, melody by Apel Mahmud
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
দুঃসহ এ বেদনার কণ্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
পদ্মা-মেঘনার কলতানে
বাউলের একতারাতে
আনন্দ ঝংকারে
তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।
নতুন স্বদেশ গড়ার পথে
তোমরা চিরদিন দিশারী রবে।
আমরা তোমাদের ভুলব না।।
[গানটি লিখেছেন গোবিন্দ হালদার এবং গেয়েছেন স্বপ্না রায়]
৭৬. জন্ম আমার ধন্য হল (Jonmo amar dhonno holo) - Lyrics by Nayeem Gahor, melody by Azad Rahman
জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
এমন করে আকুল হয়ে
আমায় তুমি ডাকো।।
তোমার কথায় হাসতে পারি
তোমার কথায় কাঁদতে পারি
মরতে পারি তোমার বুকে
বুকে যদি রাখো মাগো।।
তোমার কথায় কথা বলি
পাখির গানের মতো
তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি
বর্ণ কত শত।
তুমি আমার—খেলার পুতুল
আমার পাশে থাক মাগো।।
তোমার প্রেমে তোমার গন্ধে
পরান ভরে রাখি
এইতো আমার জীবন-মরণ
এমনি যেন থাকি।
বুকে তোমার—ঘুমিয়ে গেলে
জাগিয়ে দিও নাকো মাগো।।
কথাঃ নইম গহর
সুরঃ আজাদ রহমান
৭৭. ও ভাই, খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি (O bhaai khaanti shonar cheye khaanti amar desher maati) - Kazi Nazrul Islam
ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি।।
এই দেশেরই মাটি জলে,
এই দেশেরই ফুলে-ফলে,
তৃষ্ণা মিটাই, মিটাই ক্ষুধা
পিয়ে এরই দুধের বাটি।।
এই মাটি এই কাদা মেখে,
এই দেশেরই আচার দেখে,
সভ্য হলো নিখিল ভুবন, দিব্য পরিপাটি।।
এই দেশেরই ধুলায় পড়ি
মানিক যায়রে গড়াগড়ি
বিশ্বে সবার ঘুম ভাঙানো
এই দেশেরই জীবন কাঠি।।
৭৮. মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম (Mora jhonjhaar moto uddaam) - Kazi Nazrul Islam
মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দ্যম
মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল,
মোরা বিধাতার মত নির্ভয়
মোরা প্রকৃতির মত স্বচ্ছল।।
মোরা আকাশের মত বাঁধাহীন
মোরা মরু সঞ্চার বেদুঈন,
বন্ধনহীন জন্ম স্বাধীন
চিত্তমুক্ত শতদল।।
মোরা সিন্ধু জোঁয়ার কলকল
মোরা পাগলা জোঁয়ার ঝরঝর।
কল-কল-কল, ছল-ছল-ছল
মোরা দিল খোলা খোলা প্রান্তর,
মোরা শক্তি অটল মহীধর।
হাসি গান শ্যাম উচ্ছল
বৃষ্টির জল বনফল খাই-
শয্যা শ্যামল বনতল।।
৭৯. দুর্গম গিরি কান্তার মরু (Durgom giri kantar moru - Kazi Nazrul Islam)
দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার হে
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত্
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার
দুর্গমগিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার হে
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার ।।
৮০. একী অপরূপ রূপে মা তোমায় (Eki awporoop roope ma tomaay herinoo pollee jononi) - Kazi Nazrul Islam
একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী।
ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনী॥
রৌদ্রতপ্ত বৈশাখে তুমি চাতকের সাথে চাহ জল ,
আম-কাঁঠালের মধুর গন্ধে জৈষ্ঠে মাতাও তরুতল।
ঝঞ্ঝার সাথে প্রান্তরে মাঠে কভু খেল ল’য়ে অশনি॥
কেতকী কদম যূথিকা কুসুমে বর্ষায় গাঁথ মালিকা ,
পথে অবিরল ছিটাইয়া জল খেল চঞ্চলা বালিকা।
তড়াগে পুকুরে থই থই করে শ্যামল শোভার নবনী॥
শাপলা শালুকে সাজাইয়া সাজি শরতে শিশিরে নাহিয়া ,
শিউলি - ছোপানো শাড়ি প’রে ফের আগমনী - গীতি গাহিয়া।
অঘ্রাণে মা গো আমন ধানের সুঘ্রাণে ভরে অবনী॥
শীতের শূন্য মাঠে তুমি ফের উদাসী বাউল সাথে মা ,
ভাটিয়ালি গাও মাঝিদের সাথে (গো), কীর্তন শোন রাতে মা ,
ফাল্গুনে রাঙা ফুলের আবীরে রাঙাও নিখিল ধরণী॥
৮১. মা গো, ভাবনা কেন (Ma go bhabna keno) - Lyrics: Gauriprasanna Majumdar Melody: Hemanta Mukhopadhyay
৮২. সব কটা জানালা খুলে দাওনা (Shob kota janala khoole daao na, ami gaaibo bijoyeri gaan) - ?
সব কটা জানালা খুলে দাও না,
আমি গাইবো গাইবো বিজয়ের-ই গান...
ওরা আসবে চুপি চুপি,
যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ. . .
সব কটা জানালা খুলে দাও না . . .
চোখ থেকে মুছে ফেলো অশ্রু টুকু,
এমন খুশির দিনে কাদতে নেই. . .
হারানো সৃতির, বেদনাতে, একাকার করে মন রাখতে নেই. . .
ওরা আসবে চুপি চুপি,
কেউ যেন ভুল করে গেওনাকো মন ভাঙ্গা গান . . .
আজ আমি সারা নিশি থাকবো জেগে
ঘরের আলো সব আধার করে. . .
ছড়িয়ে রাখো, অত্তর গোলাপ, এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে. . .
ওরা আসবে চুপি চুপি,
কেউ যেন ভুল করে গেওনাকো মন ভাঙ্গা গান . . .
সব কটা জানালা খুলে দাও না,
আমি গাইবো গাইবো বিজয়ের গান...
ওরা আসবে চুপি চুপি,
যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ. . .
সব কটা জানালা খুলে দাও না . . .
৮৩. এক নদী রক্ত পেরিয়ে (Ek nodi rokto periye) -Lyrics: Khan Ataur rahman, Melody: Shahnaz Rahmatullah
৮৪. মোদের গরব মোদের আশা (Moder gorob moder asha amori Bangla bhasha) - Atul Prasad Sen
মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
(মাগো) তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালোবাসা।।
কি যাদু বাংলা গানে, গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।।
বিদ্যাপতি, চণ্ডী, গোবিন্, হেম, মধু, বঙ্কিম, নবীন-
ঐ ফুলেরই মধুর রসে বাঁধলো সুখে মধুর বাসা।।
বাজিয়ে রবি তোমার বীণে, আনলো মালা জগৎ জিনে।
তোমার চরণ-তীর্থে (মাগো) আজি জগৎ করে যাওয়া-আসা।।
ঐ ভাষাতেই নিতাই গোরা, আনল দেশে ভক্তি-ধারা,
আছে কৈ এমন ভাষা এমন দুঃখ-শ্রান্তি-নাশা।।
ঐ ভাষাতেই প্রথম বোলে, ডাকনু মায়ে ‘মা, মা’ বলে;
ঐ ভাষাতেই বলবো হরি, সাঙ্গ হলে কাঁদা হাসা।।
৮৫. মায়ের দেয়া মোটা কাপড় (Maayer dewa mota kaapor mathay toole ne re bhaai) - Rajanikanta Sen
মায়ের দেয়া মোটা কাপড়
মাথায় তুলে নে রে ভাই
দীন দুখিনী মা যে তোদের
তার বেশী আর সাধ্য নাই।।
ঐ মোটা সুতোর সঙ্গে মায়ের
অপার স্নেহ দেখতে পাই
আমরা এমনি পাষাণ,তাই ফেলে
ঐ, পরের দোরে ভিক্ষে চাই।।
ঐ দু:খী মায়ের ঘরে তোদের
সবার প্রচুর অন্ন নাই,
তবু তাই বেচে কাঁচ, সাবান, মোজা
কিনে করলি ঘর বোঝাই।।
আয়রে আমরা মায়ের নামে
এই প্রতিজ্ঞা করব ভাই
পরের জিনিস কিনব না
যদি-মায়ের ঘরের জিনিস পাই।
৮৬. বল ভাই মাভৈঃ মাভৈঃ (Bol bhaai, maabhoyee maabhoyee) - Kazi Nazrul Islam
৮৭. বানভাসি ওই মানুষগুলো (Baan bhashi oi manush gulo kawtoi dishahara) - Lyrics: S. M. Abu Bakar, Melody: Rabiul Hussain
বানভাসি ওই মানুষগুলো
কতই দিশেহারা
যেদিক তাকায় সেইদিকে দেখে
শুধুই পানির ধারা।।
কাজ নাই, খাবার নাই
ভাসছে যে ঘর বানে
এদিক থেকে ওই দিক থেকে
ছুটে শুধুই প্রানের টানে
মাথা গোজার ঠাঁয় নাই,
হল যে সব সারা।।
কেউবা আছে গাছের ডালে
কেউবা বাড়ীর ছাদে
কেউবা আবার হতাশ হয়ে
অঝোর ধারায় কাঁদে
বিশ্ববাসী এসো সবাইনা যায় যেন মারা।।
৮৮. ওরা কপট, ওরা প্রবঞ্চক (Ora kawpot, ora probonchok) - S. M. Abu Bakar
৮৯. বাঁধন-ছেড়ার সাধন হবে (Baandhon chhenraar shaadhon hobe) - Rabindranath Thakur
৯০. জাগো হে রুদ্র জাগো (Jaago he roodro jaago) - Rabindranath Thakur
জাগো হে রুদ্র জাগো,
সুপ্তি জড়িত তিমির জাল সহেনা গো,
এসো নিরুদ্ব দ্বারে বিমুক্ত করো তারে,
তনু মন প্রাণ ধন জন মান,
হে মহাভিক্ষু মা গো।
৯১. বজ্রে তোমার বাজে বাঁশী (Bawjre tomaar baaje baanshi) - Rabindranath Thakur
৯২. বাংলার মাটি বাংলার জল (Banglar maati Banglar jawl) - Rabindranath Thakur
৯৩. আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে (Aji Bangladesher hridoy hote) - Rabindranath Thakur
৯৪. এসো মুক্ত করো অন্ধকারের এই দ্বার (Esho mookto kawro awndhokaarer ei dwaar) - Jyotirindronath Thakur
এসো মুক্ত করো মুক্ত করো,
অন্ধকারের এই দ্বার,
এসো শিল্পী, এসো বিশ্বকর্মা,
এসো স্রষ্টা, রস রূপ মন্ত্র দ্রষ্টা,
ছিন্ন করো, ছিন্ন করো,
বন্ধনের এ অন্ধকার,
দিকে দিকে ভেঙ্গেছে যে শৃংখল,
দুগর্ত দলিতেরা পায় বল
এ শুভলগনে আজ
তোমার স্মরণ করি রূপকার,
এসো মুক্ত কর হে এই দ্বার,
উঠেছে যে জীবনের লক্ষ্মী,
মৃত্যু সাগর মন্থনে,
নূতন পৃথিবী চায় শিল্পীর বরাভয়,
নব সৃষ্টির শুভক্ষণে,
এসো শ্রমিকের সাম্য ও ঐক্যে,
এসো জনতার মুখরিত সখ্যে,
এসো দু:খ তিমির ভেদি দুর্গম ধ্বংসে,
মৃত্যু আঘাত করি চূর্ণ,
এসো প্রাণের আধার করি পূর্ণ।
৯৫. সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য (Shundor shuborno tarunyo labonyo - by Ahmed Imtiaz Bulbul)
কথা ও সুর ~ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য
অপূর্ব রূপসী রূপে অনন্য
আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন ও দেশ তোমারই জন্য||
থাকবেনাতো দুঃখ দারিদ্র্য, বিভেদ বেদনা ক্রন্দন |
প্রতিটি ঘরে একই প্রশান্তি একই সুখের স্পন্দন |
আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন ও দেশ তোমারই জন্য||
{সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য
অপুর্ব রূপসী রূপে অনন্য
আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন ও দেশ তোমারই জন্য|| }
তোমার জন্য হব দুরন্ত তোমার জন্য শান্ত
প্রহরী হয়ে দেব পাহারা যেথায় তোমার সীমান্ত
আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন ও দেশ তোমারই জন্য||
২|কথা ও সুর : আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহঙ্কার
তোমার স্বাধীনতা গৌরব ও সৌরভে
এনেছে আমার প্রানের সূর্যে রৌদ্রের সজীবতা
দিয়েছে সোনালী সুখী জীবনের দৃপ্ত অংগীকার
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহঙ্কার||
তোমার ছায়া ঢাকা রোদ্দুরে প্রান্তরে দেখেছি
অতল অমর বর্ণে মুক্তি’র স্নেহ মাখা
জেনেছি তুমি জীবন মরণে বিমুগ্ধ চেতনার ||
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহঙ্কার||
